সর্বশেষ সংবাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
১৯৮২ সাল থেকে কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু রয়েছে বাংলাদেশে। এখানে শতভাগ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় জীবিত নিকটাত্মীয়ের দেহ থেকে কিডনি বিযুক্ত করে। অঙ্গদাতা বা ডোনার সংকটের কারনে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে ৪০ হাজার কিডনি বিকল রোগী। এর মধ্যে ২০ ভাগ কিডনি রোগের চিকিত্সা পেলেও বাকি ৮০ ভাগ চিকিৎসা সেবার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। একইভাবে হাজার হাজার মানুষ লিভার, হার্ট, ফুসফুস, অগ্নাশয় ইত্যাদি বিকল হয়ে অকালে মারা যাচ্ছে। অথচ উন্নত বিশ্বে কিডনি বিকল ৬০-৭০ ভাগের বেশি মানুষ মরণোত্তর অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা নিয়ে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। বাংলাদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আইনে কোন বাঁধা না থাকলেও এখনো মরণোত্তর অঙ্গদান শুরুই করা যায়নি। এদেশে মরণোত্তর অঙ্গপ্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিলে অকালে হারাতে হবে না এতগুলো জীবন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কিডনি ফাউন্ডেশন, সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশ এবং কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনাম হসপিটালের যৌথ উদ্যোগে কোরিয়ান সোসাইটি ফর ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন এবং বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সহযোগীতায় ‘মরণোত্তর অঙ্গ দান ও সংযোজন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মিরপুরস্থ কিডনি ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে কিডনি ফাউন্ডেশন ও সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস এন্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা রয়েলের সভাপতি মো. জাহীদ হোসেন, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এম. খাইরুল আলম, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন শহিদুল ইসলাম, ইনার হুইল বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মহসিনা রেজা প্রমূখ। বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব, ব্রি. জে. (অব:). অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. মুহিবুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অর্গান ডোনার কার্ড চালু করা হয় এবং কিডনি সংযোজন করে বেঁচে আছেন এমন কয়েকজন ব্যাক্তিকে সম্মাননা দেয়া হয়। রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যারা নিজেদের কিডনি দান করেছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন তারা একেকটা ইতিহাস। মরণোত্তর অঙ্গদান অনেক কঠিন একটা কাজ হলেও অসম্ভব কিন্তু নয়। তাছাড়া এটা শুধু কিডনি ফাউন্ডেশনের একার কাজও নয়। এজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, মানুষের ইমোশনকে জাগিয়ে তুলতে হবে। অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, দিন দিন কিডনি বিকল রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জীবিত কিডনি দাতার সংকট প্রকট বলে বিকল রোগীরা প্রতিস্থাপন করতে না পেরে অকালে মারা যাচ্ছে। এসব বিষয় চিন্তা করে গত বছর থেকে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, কিডনি ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন মরণোত্তর কিডনি ও লিভার দানের উদ্যোগ ও যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু সচেতনতা, ধর্মীয় অজ্ঞতা এবং অনাগ্রহের কারণে সেটি সফল হয়নি। সাফল্যের আশায় আবারো সম্মিলিতভাবে মরণোত্তর অঙ্গপ্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ম কিংবা বিদ্যমান আইনে মরনোত্তর অঙ্গ দানে কোন বাধা নেই। ওআইসি এবং বিশিষ্ট ইসলামিক ওলামাগণ মরনোত্তর কিডনি সহ অন্যান্য অঙ্গদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ফলে সৌদিআরব, ইরাক, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ইরান প্রভৃতি দেশ মরণোত্তর অঙ্গদানে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের জন্য দরকার মানুষের ব্যাপক সচেতনতা।
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদপ্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।